সিলেট টেস্টের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ২৫৫ রানে। ব্যাটারদের একের পর এক ব্যর্থতায় প্রতিরোধ গড়তে পারেনি টাইগাররা। মুজারাবানির বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে শান্ত-মিরাজরা। এতেই জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য দাঁড়াল মাত্র ১৭৪ রান।
বাংলাদেশ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল ৪ উইকেটে ১৯৪ রান নিয়ে। কিন্তু দিনের শুরুতেই ধাক্কা খায় দলটি। দিনের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় দলটি—আউট হন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। মুজারাবানির শর্ট বলে পুল শট খেলতে গিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু টাইমিং ছিল না সঠিক।
ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে বল ভেসে ওঠে, আর লং লেগে দাঁড়িয়ে থাকা নিয়াউচি সহজেই ক্যাচটি ধরেন। ১০৫ বল খেলে ৬০ রানেই শেষ হয় শান্তর ইনিংস।
শান্তর আউটের পর ক্রিজে এসে শুরুটা আক্রমণাত্মকভাবেই করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি।
১৬ বল খেলে ১১ রান করার পর মুজারাবানির ডেলিভারিতে গালিতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ড্রেসিংরুমে। এরপর খুব দ্রুতই আরেকটি ধাক্কা খায় বাংলাদেশ—মাত্র ৩ বল খেলে ১ রান করে ফিরে যান বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিড অফে মুজারাবানির হাতে ক্যাচ তুলে দেন হাসান মাহমুদ। ৫৮ বল মোকাবিলা করে ১২ রানেই থামে এই পেসারের ইনিংস। পরের বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান খালেদ আহমেদ।
এরপর জাকির হাসানকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে অলআউট করে দেন মুজারাবানি।
ব্লেসিং মুজারাবানি তুলে নেন তার ইনিংসের ষষ্ঠ উইকেট। এতেই টেস্ট ক্যারিয়ারের এক বিশেষ মাইলফলক স্পর্শ করেন এই পেসার। জিম্বাবুয়ের টেস্ট ইতিহাসে যৌথভাবে দ্রুততম ৫০ উইকেট শিকারির তালিকায় জায়গা করে নেন।